ঘি | স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর | graduateagro.com
ঘি আসলে কি?
ঘি তৈরি হয় দুধের ফ্যাট (ক্রিম) বা বাটার থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় দুধ থেকে আলাদা করে। তারপর সেই ফ্যাটকে জ্বাল দিয়ে ঘি তৈরি করা হয়।
ঘি এর পুষ্টিগুণ ও বৈশিষ্ট্য:
- ফ্যাটের পরিমাণ: ঘি এ ফ্যাটের পরিমাণ ৯৯.৮%, যার প্রায় ৬০% সম্পৃক্ত ফ্যাট আর বাকি অংশ অসম্পৃক্ত ফ্যাট ও অন্যান্য ফ্যাটি এসিড।
- ফ্যাটি এসিড: দুধের ফ্যাটে ৪০০ এর অধিক ফ্যাটি এসিড থাকে।
- প্রসেস: ক্রিম জ্বাল দিয়ে এর সাথে থাকা সলিড অংশ এবং তলানিকে আলাদা করে ফেলায় দিয়ে শুধু লিকুইড অংশকে আলাদা করার পর ঠান্ডা করলেই জমে ঘি হয়ে যায়।
- স্বাদ ও গুণ: ঘি এর স্বাদ, রং, ঘ্রাণ এবং দানাদার বা অদানাদার হওয়া নির্ভর করে দুধের মান, ক্রিমের কোয়ালিটি, জ্বাল এবং কিভাবে ঠান্ডা করা হয় তার উপর।
ঘি তৈরির বিভিন্ন প্রসেস:
- কাঁচা দুধ থেকে: প্রথমে কাঁচা দুধ থেকে ফ্যাট/ক্রিম/বাটারকে মেশিনের সাহায্যে আলাদা করা হয়। এরপর এই ক্রিম/বাটার/ফ্যাটকে জ্বাল দিয়ে তরল অংশ থেকে সলিড অংশকে আলাদা করা হয়। ঠান্ডা হলে এই তরল জমে ঘি তৈরি হয়।
- আয়ুর্বেদিক ঘি: প্রথমে কাঁচা দুধ জ্বালানো হয়। এরপর ঠান্ডা করে সারারাত ঢেকে রাখা হয়। এতে সামান্য টক দই মিশিয়ে পরদিন দই তৈরি করা হয়। তারপর এই দই থেকে বাটার তৈরি করে জ্বাল দিয়ে ঘি তৈরি করা হয়।
ঘি ও তেলের পার্থক্য:
- ফ্যাট ও তেল: ফ্যাট ও তেল একই জিনিস, দুটোই ফ্যাটি এসিড। সাধারণ তাপমাত্রায় যেটা সলিড থাকে সেটা ফ্যাট এবং যেটা তরল অবস্থায় থাকে সেটা তেল।
- তাপমাত্রার প্রভাব: ঘি শীতকালে জমে সলিড হয়ে যায়, কিন্তু গরমকালে পুরোপুরি গলে তরল অবস্থায় থাকতে পারে।
graduateagro.com এ এখনই অর্ডার করুন এবং উপভোগ করুন স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর ঘি।
Reviews
There are no reviews yet.